ইন্টেরিয়র ডিজাইন লাইসেন্স: ধাপে ধাপে সাফল্যের পথ, না জানলে মিস!

webmaster

Cozy Reading Nook**

A fully clothed woman sits in a comfortable armchair in a sunlit reading nook, surrounded by bookshelves filled with books, modest decor, soft textures, warm lighting, a small side table with a cup of tea, safe for work, appropriate content, perfect anatomy, natural proportions, professional photography, high quality.

**

ঘরের নকশা করতে বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ আছে? তাহলে এই ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কিছু বিশেষ ধাপ অনুসরণ করতে হয়। শুধু সুন্দর একটা আইডিয়া থাকলেই তো হবে না, তার সাথে দরকার সঠিক শিক্ষা এবং দক্ষতার প্রমাণ। এক্ষেত্রে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিছু কোর্স করিয়ে থাকে, যা আপনাকে একজন দক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে তৈরি করতে পারে।আমি যখন প্রথম এই বিষয়ে জানতে শুরু করি, তখন মনে হয়েছিল এটা শুধু ছবি আঁকা আর রঙের খেলা। কিন্তু পরে বুঝলাম, এর পিছনে অনেক টেকনিক্যাল বিষয় আছে, যেমন স্পেস প্ল্যানিং, বিল্ডিং কোড, আর অবশ্যই, ক্লায়েন্টের চাহিদা বোঝা। তাই, একটা ভালো কেরিয়ারের জন্য সঠিক পথে এগোনো খুব জরুরি।আসুন, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য: নিজের দক্ষতা বাড়ানোঘরের ভেতরের সৌন্দর্য বাড়াতে চান, কিন্তু ভাবছেন কিভাবে শুরু করবেন? চিন্তা নেই, নিজের দক্ষতা বাড়ানোর কিছু সহজ উপায় আছে। একটা সময় ছিল, যখন আমি ভাবতাম ইন্টেরিয়র ডিজাইন শুধু বড়লোকদের জন্য। কিন্তু এখন বুঝি, সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেও ঘরকে সুন্দর করে তোলা যায়।

নিজের চোখকে প্রশিক্ষণ দিন

keyword - 이미지 1
* বিভিন্ন ডিজাইন ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট দেখুন: শুধু দেখলেই হবে না, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। কোন রং কিভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, কোথায় কী ধরনের জিনিস রাখা হয়েছে – এসব ছোটখাটো বিষয় লক্ষ্য করুন। আমি যখন প্রথম শুরু করি, তখন নামকরা সব ম্যাগাজিন আর ওয়েবসাইট ঘাঁটতাম।
* বাস্তব অভিজ্ঞতা নিন: বিভিন্ন প্রদর্শনীতে যান, বন্ধুদের বাড়িতে যান, যেখানেই সুন্দর কিছু দেখবেন, তা মনে রাখার চেষ্টা করুন। একবার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেখানে পুরনো জিনিস দিয়ে এমন সুন্দর একটা কোণ তৈরি করেছিল, যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

ডিজাইনের মূল নীতিগুলো শিখুন

* অনলাইন কোর্স: এখন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর ফ্রি কোর্স করানো হয়। সেই কোর্সগুলো করতে পারেন। ইউটিউবেও অনেক ভালো টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
* বই পড়ুন: ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে অনেক বই পাওয়া যায়, যেগুলোতে ডিজাইনের বিভিন্ন নিয়ম ও পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।

বিষয় বর্ণনা
রং তত্ত্ব কীভাবে রং ব্যবহার করে ঘরের আবহ পরিবর্তন করা যায়
স্থান পরিকল্পনা কীভাবে অল্প জায়গায় বেশি জিনিস সুন্দরভাবে রাখা যায়
আলো আলোর সঠিক ব্যবহার করে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি

সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করুন

* নিজের স্টাইল তৈরি করুন: অন্যের ডিজাইন নকল না করে নিজের মতো করে কিছু করার চেষ্টা করুন। আপনার ব্যক্তিত্ব যেন আপনার ডিজাইনে ফুটে ওঠে।
* নতুন কিছু চেষ্টা করুন: ভয় পাবেন না, নতুন কিছু করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে। ভুল থেকেই মানুষ শেখে। আমি প্রথম যখন নিজের ঘর সাজাতে গিয়েছিলাম, তখন অনেক ভুল করেছিলাম। কিন্তু সেই ভুলগুলো থেকেই আমি নতুন জিনিস শিখেছি।আলো এবং ছায়া: অন্দরসজ্জায় নতুন দিগন্তআলো এবং ছায়া কিভাবে আপনার ঘরের সৌন্দর্য পরিবর্তন করতে পারে, তা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আমি যখন প্রথম এই বিষয়ে জানতে শুরু করি, তখন মনে হয়েছিল এটা শুধু লাইট লাগানো আর নেভানোর ব্যাপার। কিন্তু পরে বুঝলাম, এর পিছনে অনেক গভীর বিজ্ঞান আছে।

আলোর প্রকারভেদ

* প্রাকৃতিক আলো: দিনের বেলা জানালা খুলে দিন, যাতে সূর্যের আলো সরাসরি ঘরে প্রবেশ করতে পারে। সূর্যের আলোয় ঘরের রং আরও উজ্জ্বল দেখায়। আমার মনে আছে, একবার আমি আমার বসার ঘরে বড় একটা জানালা লাগিয়েছিলাম, আর তার পর থেকে পুরো ঘরের চেহারাটাই বদলে গিয়েছিল।
* কৃত্রিম আলো: বিভিন্ন ধরনের লাইট ব্যবহার করুন, যেমন – টেবিল ল্যাম্প, ওয়াল লাইট, সিলিং লাইট ইত্যাদি।

আলোর ব্যবহার

* মুড তৈরি করুন: আলোর ব্যবহার করে আপনি আপনার ঘরের মুড পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন, ডিনার পার্টির জন্য ডিম লাইট ব্যবহার করুন, আর পড়ার জন্য উজ্জ্বল আলো।
* আকর্ষণ তৈরি করুন: বিশেষ কিছু জিনিস, যেমন – ছবি বা ভাস্কর্য-এর ওপর স্পটলাইট ফেলুন, যাতে সেগুলো আরও বেশি করে চোখে পড়ে।

ছায়ার গুরুত্ব

* গভীরতা তৈরি করুন: আলো এবং ছায়া একসাথে কাজ করে ঘরের মধ্যে একটা গভীরতা তৈরি করে, যা দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগে।
* নাটকীয়তা আনুন: ছায়ার সঠিক ব্যবহার আপনার ঘরকে আরও নাটকীয় করে তুলতে পারে।উপকরণ এবং টেক্সচার: ভিন্নতা আনুনঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করার সময় উপকরণ এবং টেক্সচারের ব্যবহার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা আপনার ঘরকে শুধু সুন্দর নয়, আরামদায়কও করে তোলে। আমি যখন প্রথম এই বিষয়ে কাজ শুরু করি, তখন বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে খুব ভালো লাগত।

উপকরণ নির্বাচন

* কাঠ: কাঠ একটা উষ্ণ অনুভূতি দেয়। কাঠের আসবাবপত্র বা কাঠের তৈরি জিনিস ব্যবহার করলে ঘরটা আরও বেশি আরামদায়ক লাগে।
* ধাতু: ধাতু একটা আধুনিক লুক দেয়। স্টিল বা লোহার জিনিস ব্যবহার করলে আপনার ঘরটা আরও স্টাইলিশ লাগবে।
* কাঁচ: কাঁচ ব্যবহার করলে আলো ভালোভাবে ছড়ায় এবং ঘরটা আরও বড় মনে হয়।

টেক্সচারের ব্যবহার

* মসৃণ টেক্সচার: যেমন – সিল্ক বা সাটিন। এগুলো ব্যবহার করলে একটা আভিজাত্যের ছোঁয়া পাওয়া যায়।
* খসখসে টেক্সচার: যেমন – উল বা চামড়া। এগুলো ব্যবহার করলে ঘরটা আরও উষ্ণ এবং আরামদায়ক লাগে।
* বিভিন্ন টেক্সচারের মিশ্রণ: বিভিন্ন ধরনের টেক্সচার একসাথে ব্যবহার করলে আপনার ঘরটা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন

* উপকরণ এবং টেক্সচার নির্বাচনের সময় নিজের পছন্দকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। কারণ, দিনশেষে আপনিই আপনার ঘরে থাকবেন।
* অন্যের থেকে অনুপ্রাণিত হন, কিন্তু অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। নিজের একটা আলাদা স্টাইল তৈরি করুন।ছোট ঘরকে বড় দেখানোর কৌশলছোট ঘরকে বড় দেখাতে চাইলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। আমি যখন প্রথম ছোট একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করি, তখন এই সমস্যাটা খুব অনুভব করতাম। কিন্তু কিছু সহজ উপায় বের করে আমি আমার ঘরকে আরও বেশি খোলামেলা করে তুলেছিলাম।

আলোর সঠিক ব্যবহার

* দেয়ালে হালকা রং ব্যবহার করুন: হালকা রং, বিশেষ করে সাদা বা হালকা নীল, আলো প্রতিফলিত করে এবং ঘরকে বড় দেখায়।
* আয়না ব্যবহার করুন: আয়না আলো প্রতিফলিত করে এবং ঘরের পরিসর বাড়িয়ে দেয়।
* বড় জানালা রাখুন: জানালা দিয়ে দিনের আলো আসতে দিন, এতে ঘর আরও উজ্জ্বল হবে।

আসবাবপত্র নির্বাচন

* মাল্টিফাংশনাল আসবাবপত্র: এমন আসবাবপত্র ব্যবহার করুন, যা একাধিক কাজে লাগে, যেমন – ডিভান কাম বেড।
* দেয়ালের সাথে লাগানো আসবাবপত্র: দেয়ালের সাথে লাগানো আসবাবপত্র ব্যবহার করলে ঘরের মেঝে বেশি দেখা যায় এবং ঘর বড় মনে হয়।
* কম আসবাবপত্র: অপ্রয়োজনীয় জিনিস ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন, এতে ঘর আরও ফাঁকা লাগবে।

অন্যান্য টিপস

* উল্লম্ব স্থান ব্যবহার করুন: দেয়ালের ওপরের দিকে তাক বা কেবিনেট তৈরি করুন।
* সাজসজ্জা কমিয়ে দিন: অতিরিক্ত স্যুভেনিয়ার বা শোপিস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
* নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন: পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর সবসময় বড় এবং পরিপাটি লাগে।নিজের হাতে তৈরি কিছু: ব্যক্তিত্ব যোগ করুননিজের হাতে তৈরি কিছু জিনিস দিয়ে আপনার ঘরকে ব্যক্তিগত রূপ দিতে পারেন। আমি যখন প্রথম নিজের ঘর সাজাতে শুরু করি, তখন নিজের হাতে কিছু জিনিস তৈরি করেছিলাম, যা আমার ঘরকে একটা আলাদা পরিচিতি দিয়েছিল।

হাতে তৈরি ওয়াল আর্ট

keyword - 이미지 2
* পেইন্টিং: নিজের হাতে আঁকা ছবি দিয়ে দেয়াল সাজান। যদি ছবি আঁকতে ভালো না লাগে, তাহলে বিভিন্ন ডিজাইন প্রিন্ট করে ফ্রেমে বাঁধিয়ে নিন।
* কোলাজ: পুরনো ম্যাগাজিন বা ছবি দিয়ে কোলাজ তৈরি করে দেয়ালে লাগান।
* সুতা দিয়ে ডিজাইন: সুতা দিয়ে বিভিন্ন নকশা তৈরি করে দেয়ালে লাগাতে পারেন।

হাতে তৈরি আসবাবপত্র

* পুরনো জিনিস পুনর্ব্যবহার: পুরনো কাঠ বা বাক্স দিয়ে নতুন আসবাবপত্র তৈরি করুন।
* কুশন কভার: নিজের হাতে কুশন কভার সেলাই করুন।
* ল্যাম্পশেড: নিজের ডিজাইন করা ল্যাম্পশেড ব্যবহার করুন।

অন্যান্য আইডিয়া

* গাছ: নিজের হাতে লাগানো গাছ দিয়ে ঘর সাজান।
* মোমবাতি: নিজের হাতে তৈরি মোমবাতি ব্যবহার করুন।
* মাটির জিনিস: নিজের হাতে তৈরি মাটির পাত্র বা শোপিস দিয়ে ঘর সাজান।সবুজ অন্দর: প্রকৃতির ছোঁয়াসবুজ অন্দর মানেই প্রকৃতির ছোঁয়া। গাছপালা শুধু আপনার ঘরকে সুন্দর করে না, এটি আপনার মনকেও শান্তি এনে দেয়। আমি যখন প্রথম গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে শুরু করি, তখন মনে হয়েছিল যেন আমি প্রকৃতির খুব কাছে চলে এসেছি।

ইনডোর প্ল্যান্ট

* ছোট গাছ: ছোট গাছ যেমন স্নেক প্ল্যান্ট, মানি প্ল্যান্ট, বা জেড প্ল্যান্ট আপনার ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখে।
* ঝুলন্ত গাছ: ঝুলন্ত গাছ যেমন মর্নিং গ্লোরি বা লতানো গাছ আপনার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
* বড় গাছ: বড় গাছ যেমন এরিকা পাম বা রাবার প্ল্যান্ট আপনার ঘরের মধ্যে একটা জঙ্গল-জঙ্গল ভাব নিয়ে আসে।

গাছ রাখার স্থান

* জানালার পাশে: যে গাছগুলোর বেশি আলো দরকার, সেগুলো জানালার পাশে রাখুন।
* বারান্দায়: বারান্দায় বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগাতে পারেন।
* ঘরের কোণে: ঘরের কোণে বড় গাছ রাখলে দেখতে ভালো লাগে।

অন্যান্য টিপস

* নিয়মিত গাছের যত্ন নিন: গাছে নিয়মিত পানি দিন এবং পাতা পরিষ্কার রাখুন।
* মাটি পরিবর্তন করুন: বছরে একবার গাছের মাটি পরিবর্তন করুন।
* সার ব্যবহার করুন: গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করুন।নিজের স্বপ্নের ঘর: শেষ কথানিজের স্বপ্নের ঘর তৈরি করা একটা আনন্দের বিষয়। এটা শুধু একটা স্থান নয়, এটা আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। আমি যখন আমার নিজের ঘর সাজিয়েছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যেন আমি নিজের একটা প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছি।

পরিকল্পনা

* নিজের প্রয়োজন বুঝুন: প্রথমে নিজের প্রয়োজনগুলো ভালোভাবে বুঝুন। আপনার কি কি দরকার, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন।
* বাজেট তৈরি করুন: আপনার বাজেট অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
* অনুপ্রেরণা খুঁজুন: বিভিন্ন ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট বা বন্ধুদের বাড়ি থেকে আইডিয়া নিন।

বাস্তবায়ন

* ধীরে ধীরে শুরু করুন: সবকিছু একসাথে করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে এক একটা কাজ শেষ করুন।
* সাহায্য নিন: প্রয়োজনে বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিন।
* উপভোগ করুন: এই পুরো প্রক্রিয়াটি উপভোগ করুন।মনে রাখবেন, আপনার ঘর আপনার রুচির প্রতিফলন। তাই, নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন এবং নিজের স্বপ্নের ঘর তৈরি করুন।

শেষের কথা

নিজের ঘরকে সুন্দর করে তোলার এই যাত্রা আসলে এক নতুন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে। নিজের হাতে সবকিছু গুছিয়ে, নিজের মতো করে সাজিয়ে তোলার মধ্যে যে আনন্দ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আশা করি, এই ব্লগ থেকে আপনারা কিছু নতুন আইডিয়া পেয়েছেন এবং নিজের ঘরকে সুন্দর করে তোলার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন। সুন্দর থাকুন, ভালো থাকুন!




দরকারী কিছু তথ্য

১. দেয়ালের রং বাছাই করার সময় ঘরের আকারের দিকে খেয়াল রাখুন। ছোট ঘর হলে হালকা রং ব্যবহার করুন।

২. আসবাবপত্র কেনার আগে ঘরের মাপ নিয়ে নিন, যাতে পরে কোনো সমস্যা না হয়।

৩. গাছ লাগানোর জন্য সঠিক মাটি এবং সারের ব্যবহার জানা জরুরি।

৪. অনলাইনে ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন, যা আপনাকে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে।

৫. নিজের তৈরি করা জিনিস দিয়ে ঘর সাজালে, সেটি আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

নিজের ঘরকে সুন্দর করার জন্য প্রথমে নিজের পছন্দ এবং প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিন। অন্যের ডিজাইন নকল না করে নিজের মতো করে কিছু করার চেষ্টা করুন। সবসময় নতুন কিছু চেষ্টা করতে থাকুন এবং ভুল থেকে শিখুন। আলো, রং এবং টেক্সচারের সঠিক ব্যবহার আপনার ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, এই পুরো প্রক্রিয়াটি উপভোগ করা এবং নিজের স্বপ্নের ঘর তৈরি করা।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্সের জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে?

উ: সাধারণত, ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্সে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। কিছু প্রতিষ্ঠানে ড্রইং বা ফাইন আর্টসে দক্ষতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তবে, অনেক কলেজে শুধুমাত্র মাধ্যমিক পাশ হলেও কিছু ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ থাকে। আসল কথা হল, আপনার আগ্রহ আর শেখার ইচ্ছাটাই আসল। আমি যখন প্রথম ভর্তি হই, তখন আমার তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না, কিন্তু চেষ্টা আর আগ্রহের জোরেই সব শিখেছি।

প্র: একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের মাসিক আয় কেমন হতে পারে?

উ: দেখুন, এটা বলা কঠিন। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের মাসিক আয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। শুরুতে হয়তো একটু কম থাকে, প্রায় ১৫,০০০ – ২০,০০০ টাকা। কিন্তু কয়েক বছর পর, অভিজ্ঞতা বাড়লে এবং ভালো কাজ দেখাতে পারলে, মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। আমি এমন অনেক ডিজাইনারকে চিনি যারা ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকাও আয় করছেন। তবে, লেগে থাকতে হবে, হাল ছাড়লে চলবে না।

প্র: ইন্টেরিয়র ডিজাইন শেখার জন্য ভালো কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম বলুন।

উ: বাংলাদেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইন শেখার জন্য বেশ কিছু ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কিছু ইনস্টিটিউট, বুয়েট (BUET)-এর আর্কিটেকচার বিভাগেও ইন্টেরিয়র ডিজাইন সংক্রান্ত কোর্স করানো হয়। এছাড়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ বেশ জনপ্রিয়। আমি বলব, ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা আর শিক্ষাক্রম ভালোভাবে দেখে নেবেন।

📚 তথ্যসূত্র